আনন্দ সূত্রম
পরিভ্রমণে চলুন
অনুসন্ধানে চলুন
আনন্দ সূত্রম প্রভাত রঞ্জন সরকার-এর রচিত একটি সংস্কৃত ভাষার বই। প্রাচীন ভারতের সূত্র রচনা প্রথা কে অনুসরণ করে তিনি এই পুস্তক রচনা করেন যেইটিকে তিনি সার্বিক, সম্পূর্ণ এবং শাশ্বত আনন্দ লাভের সূত্র বলে বিবেচিত করেন, এবং সেই অনুযায়ী-ই বইটির নাম হয় "আনন্দ সূত্রম"।
অধ্যায় সমূহ
আনন্দ সূত্রম' মোট পাঁচটি অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রতিটি অধ্যায়ে শ্লোক্সংখ্যা যথাক্রমে—
- প্রথম অধ্যায়: ২৫ টি শ্লোক
- দ্বিতীয় অধ্যায়: ২৪ টি শ্লোক
- তৃতীয় অধ্যায়: ১২ টি শ্লোক
- চতুর্থ অধ্যায়: ৮ টি শ্লোক
- পঞ্চম অধ্যায়: ১৬ টি শ্লোক
শ্লোক পরিচয়
এই অংশে আনন্দ সূত্রম-এর প্রতিটি অধ্যায়-এর কয়েকটি করে' শ্লোক উদাহরণ হিসাবে দেওয়া হ'লো। অধ্যায়ের নামের ক্ষেত্রে বঈয়ের পুস্তকের নামের বানান অনুসরণ করা হবে।
অধ্যায় | শ্লোক সংখ্যা | শ্লোক | রোমান সংস্কৃত | ভাবার্থ |
---|---|---|---|---|
প্রথম | ১ | শিবশক্ত্যাত্মকং ব্রহ্ম | Shivashaktya'makam Brahma | শিব ও শক্তি উভয়ের সামবায়িক শক্তির নাম ব্রহ্ম। যেমন যদিও যুক্তি-তর্কের খাতিরে একটা কাগজের দু'টো পিঠ থাকে, তবু তারা অবিচ্ছেদ্য, এক সত্তারই দুই ভাগ, কাগজের একপিঠ কে বাদ দিলে দ্বিতীয় পিঠের অস্তিত্ব-ই বিপন্ন হয়ে যায়। সেই রকমই শিব এবং শক্তি-ও অবিচ্ছেদ্য, এবং একে অন্যের অবিনাভাবী। |
১০ | গুণপ্রভাবেন ভূতসঙ্ঘর্ষাদ্বলম্ | Gun'aprabaha'ven'a bhu'tasaungharsa'dbalam | বস্তুদেহের উপরে গুণের বন্ধন যত দৃঢ় হতে থাকে তার অভ্যন্তরেও সেইরূপে সঙঘর্ষ বেড়ে যেতে থাকে। এই সঙঘর্ষ বা "শক্তিচালন" কে এককথায় বলা হয় প্রাণ। সকল ভূতেই সঙঘর্ষ বা "শক্তিচালন" অলপ বা অধিক পরিমাণে আছে। | |
২০ | প্রাগ্রসরে জীবে লতা-গুল্মে মানুষে মহদহংচিত্তানি | Pra'grasare jiive lata'gulme ma'nus'e mahadaham'citta'ni | অপেক্ষাকৃত উন্নত জীবে, লতা-গুল্মে তথা মানুষে মহৎতত্ত্ব, অহংতত্ত্ব তথা চিত্ত তিনেরই বিকাশ হয়ে' থাকে। | |
দ্বিতীয় | ৪ | য়ানন্দং ব্রহ্মইত্যাহুঃ | A'nandam' Brahmaitya'huh | অনন্ত বস্তু অনেক নয়,— একটিই। অনেকসংখ্যক অনন্ত বস্তু থাকা সম্ভব নয়। একমেবাদ্বিতীয়ম্ আনন্দঘন সেই সত্তার নামই ব্রহ্ম যিনি "শিব-শক্ত্যাত্মক-ও বটে। |
১৩ | পুরুষদেহে জগদাভাসঃ | Purus'adehe jagada'bha'sah | জগতের সবকিছুই, ব্যক্ত বা অব্যক্ত, ব্রাহ্মীদেহে আভাসিত। ব্রহ্মের বাইরে কেউ বা কিছু নেই, "বাইরে" নামে কোন জিনিসও নেই। | |
২০ | ন স্বর্গো ন রসাতলঃ | Na svargo na rasa'talah | স্বর্গ বা নরক বলে কিছুই নেই। মানুষ যখন সৎ কর্ম করে বা সৎ কর্মের ফল ভোগ করে তখন তার কাছে তার প্রবেশ স্বর্গ হিসাবে প্রতিভাত হয়। এবং যখন সে কুকর্ম করে বা তার ফল ভোগ করে তখন তার কাছে তার পরিবেশ নরক রূপে প্রতিভাত হয়। | |
তৃতীয় | ৮ | মুক্ত্যাকাঙ্ক্ষয়া সদ্গুরুপ্রাপ্তিঃ | Muktya'ka'unks'aya' sadgurupra'ptih | মানুষের মধ্যে যখন মুক্তির আকাঙ্ক্ষা উগ্রভাবে জেগে ওঠে তকন সেই আকাঙ্ক্ষার শক্তিতেই সে সদ্গুরু লাভ করে থাকে। |
১১ | প্রার্থনার্চনা মাত্রৈব ভ্রমমূলম্ | Pra'rthana'rcana' ma'traeva bhramamu'lam | ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করা বৃথা কারণ তাঁর যা প্রয়োজন তা তিনি নিজেই দেবেন। | |
চতুর্থ | ১ | ত্রিগুণাত্মিকা সৃষ্টিমাতৃকা অশেষ ত্রিকোণধারা | Triguna'tmika' srs't'imatrka' ashes'atrikon'adha'ra' | প্রমম পুরুষে সত্ত্বঃ, রজঃ ও তমের বিভিন্ন ধারায় অজস্র রেখাকার তরঙ্গ বয়ে চলেছে। সত্ত্বঃ, রজঃ ও তমঃ এই ত্রিগুণাত্মক |