ব্রহ্মচর্য

Sarkarverse থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
মুদ্রণযোগ্য সংস্করণটি আর সমর্থিত নয় এবং এতে রেন্ডারিং ত্রুটি থাকতে পারে। দয়া করে আপনার ব্রাউজারের বুকমার্কগুলি হালনাগাদ করুন এবং এর পরিবর্তে দয়া করে ব্রাউজারের মুদ্রণ করার ফাংশনটি ব্যবহার করুন।

ব্রহ্মচর্য হ'লো প্রভাত রঞ্জন সরকার-এর রচিত জীবন বেদ-এর পঞ্চম অধ্যায়।

অধ্যায়-সংক্ষিপ্তসার

প্রভাত রঞ্জন সরকার এই অধ্যায়ে বলেন, ব্রহ্মচর্য শব্দের প্রকৃত অর্থ ব্রহ্মে রত থাকা। "ব্রহ্মণি বিচরণং ব্রহ্মচর্যম"। মানুষ যখন বহির্মুখী ভাব নিয়ে কোন কাজের ভাব নেয়, তখন সে ক্রমে সেই কাজে নিজেকে আবদ্ধ করে ফেলে। এবং ক্রমাগত সেই খণ্ডবস্তুর সাধনা করার ফলে তার মন এত বস্তুলিপ্ত হয়ে পড়ে যে তার চৈতন্যসত্বা ক্রমশঃ জড়সত্বায় রূপান্তরিত হয়।

প্রভাত রঞ্জন সরকার আরো বলেন, অনেকেই শুক্রধারণকেই ব্রহ্মচর্য বলে' মনে করেন। তাঁদের মনে রাখা উচিত 'ব্রহ্ম' এবং 'চর্য' এই দু'টি শব্দের সঙ্গে 'শুক্র' শব্দের কোনো ভাবগত বা অর্থগত সঙ্গতি নেই। তাছাড়া দেহবিজ্ঞান-ও একে সমর্থন করে না। কোন রকম শারীরিক ব্যাধি না থাকলে ঔষধ প্রক্রিয়ায় বিশেষ অবস্থা সৃষ্টি না করা পর্যন্ত এই জাতীয় ব্রহ্মচর্য সম্ভব নয়। অবশ্য এ'কথা ঠিক যে একজন ব্রহ্মচারীকে অবশ্যই জীবনে বিশেষ সংযম মেনে চলতে হবে।

এর পর প্রভাত রঞ্জন সংযম সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। তাঁর মতে সংযমের অর্থ প্রাকৃত ধর্মের যথাযথ অনুশীলন।

তথ্যসূত্র