ঈশ্বর-প্রণিধান ও বিষয়শ্রেণী:জীবন বেদ: পাতাগুলির মধ্যে পার্থক্য

Sarkarverse থেকে
(পাতাগুলির মধ্যে পার্থক্য)
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
imported>T12
 
imported>T12
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''''ঈশ্বর-প্রণিধান''''' হ'লো [[প্রভাত রঞ্জন সরকার]]-এর রচিত [[জীবন বেদ]]-এর ত্রয়োদশ অধ্যায়।
[[বিষয়শ্রেণী:প্রভাত রঞ্জন সরকার-এর রচিত বই]]
 
== অধ্যায় সংক্ষিপ্তসার ==
এই অধ্যায়ে প্রভাত রঞ্জন সরকার বলেছেন 'ঈশ্বর' শব্দের অর্থ অনেক হতে পারে, তবে শব্দটির মোটামুটি অর্থ হ'লো নিয়ন্তা। এ বিশ-কল্পকা-কে যিনি নিয়ন্ত্রন করছেন তিনি-ই হলেন ঈশ্বর। দার্শনিক ভাষায় ঈশ্বর শব্দের আরো অর্থ রয়েছে। সর্ব্বন্ধন্মুক্ত দার্শনিক পুরুষকেও দার্শনিক ভাষায় ঈশ্বর বলা হয়ে থাকে। "ক্লেশ-কর্ম-বিপাকাশয়ৈরপরামৃষ্টঃ পুরুষবিশেষ ঈশ্বরঃ"। ছোটখাটো দার্শনিক মরতবাদ নয়, সাধকের চোখে ঈশ্বর বলতে সগুণ ব্রহ্ম বা ভগবান ছাড়া আর কেউ নন।
 
'প্রণিধান' শব্দের অর্থ কোনো কিছুকে নিজের আশ্রয় রূপে গ্রহণ করা। সুতরাং 'ঈশ্বর-প্রণিধান' শব্দের অর্থ দাঁড়াচ্ছে, ঈশ্বরে নিজেকে সমর্পণ করা এবং তাঁকে নিজের আদর্শ রূপে গ্রহণ করা। মনকে সেই পরমাশ্রয়ে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে  ছুটিয়ে নিয়ে চলার নামই হ'লো ঈশ্বর-প্রণিধান। এতে চীৎকার করে লোক জড় করে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ভক্তি দেখাবার অবকাশ নেই, কেননা ঈশ্বর বধির নন যে যচীৎকার করে তাঁর কাণে নিজের ভাষা পৌঁছিয়ে দিতে হবে।
 
ঈশ্বরের ভাব নিতে হলে মনকে প্রথমে বস্তুতান্ত্রিক প্রপঞ্চ থেকে সরিয়ে নিতে হয়। তারপর মনকে সরাতে হয় ক্ষুদ্র-আমিত্বের স্বার্থচেতনা থেকে। এরপর যখন মন বিন্দুভূত অবস্থা ধারণ করে, তখন সেই বিন্দুভূত মনের সামনে বিরাটের ভাবকে তুলে ধরে নিজের সংস্কার অনুযায়ী বর্ণ-প্রতিষ্ঠিত মন্ত্রে তাঁর ভাব নিতে হয়।
 
=== জপ ===
প্রভাত রনহন সরকার ঈশ্বর-প্রণিধান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, জপ তিন প্রকার– বাচনিক, উপাংশু এবং মানসিক।
 
== তথ্যসূত্র ==
 
[[বিষয়শ্রেণী:জীবন বেদ]]

১৯:৩৩, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ